শুঁড়াইখানায় এসে আরাম খান তার মাতাল ইয়ার দোস্তদের সাথে মাতলামিতে ব্যস্ত। পানপাত্রে খানিকটুক বাংলামদ ঢেলে হুট করে একজন বলে উঠলেন, “আজকের রাতটা খুবই পয়মন্ত রাত। চল আমরা কিছু একটা উইশ করি।”
আরাম খান কলকল করে মদ ঢাললেন তার গ্লাসে। তারপর সেটা উঁচিয়ে ধরে বলতে থাকলেন, “আমি আমার সুন্দরী বউয়ের দুই পায়ের ফাঁকে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই, হাহাহাহাহা।” এই বলে কয়েক ঢোক গিলে ফেললেন তিনি।
তার এই কামনাবাক্য সবার পছন্দ হলো। শুঁড়িঘর জুড়ে বেশ একটা রো রো শব্দ পড়ে গেল।
বাসায় ফিরে বউকে গিয়ে আরাম খান বললেন, “বুঝলে গিন্নী, আজ একটা পার্টিতে তোমাকে স্মরণ করে এমন এক সুন্দর উইশ করেছি না, আমার বন্ধুসকল তো আমার প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ।”
“অ্যাঁ! কি উইশ করলে? কোথাকার পার্টি?”
আরাম খান সম্বিত ফেরে পেলেন। তিনি জানেন, এসব মদখাওয়াখাওয়ি তার স্ত্রীর পছন্দ না, তারপর আবার তার কামনাবাক্যটাও খুব একটা শ্লীল কিছু ছিল না। আরাম খান খানিক সবর করে বললেন, “মানে বলেছিলাম কি, ওরা তো সবাই জানে যে আমরা কক্সবাজারে বাড়ি কেনার প্লান করছি। তো উদাত্ত স্বরে উইশ করলাম- তোমাকে নিয়ে আমি সুন্দর সমুদ্র সৈকতে, আবেগঘন পরিবেশে, বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।”
স্ত্রী শুনে খুব লাজুক একটা হাসি দিলেন।
পরের দিন আরাম খানের স্ত্রী গেছে সদাইপাতি কিনতে। পথে তার সাথে দেখা হলো, সেদিনকার সেই শুঁড়িখানায় উপস্থিত থাকা আরাম খানের এক বন্ধুর।
“কী ভাবি, আরাম খান তো দেখি আপনাকে খুব ভালোবাসে। সেদিনতো তিনি কী উইশটাই না করেলন!” এইবার একটু বাঁকা হেসে তিনি বললেন, “তো, এ পর্যন্ত কবার যাওয়া হয়েছে ওজায়গায়…?”
মহিলা লাজুক হেসে বললেন, “বেশি না, মাত্র দুবার। প্রথম বার তো সে ঘুমিয়েই কাটিয়েছে সারাটা সময়, তাই আমিও তেমন মজা করার সুযোগই পাইনি। আর দ্বিতীয়বার ওখানটায় গিয়ে তার ইয়ে করতে করতেই টাইম গেছে, মানে বুঝলেন তো…” আবারো লাজুক হাসলেন তিনি, “সেসময় তার বহুমূত্র রোগটা একটু বেড়েছিল কিনা….”
No comments:
Post a Comment