মিয়ামি থেকে বস্টনে উড়ে যাবার সময় একবার আটলান্টিক কোস্টলাইনে ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনা ঘটলো। বিমানের প্রায় সব মানুষ মারা পড়লো। অনুসন্ধানকার্যে ঝানুতম- মার্কিন গোয়েন্দাব্যুরো এফবিয়াই, তটসীমা ধরে দুর্ঘটনাস্থল আঁতিপাঁতি করে চষে ফেললো। তবুও তারা ব্ল্যাকবক্সের একরত্তি টুকরোটাও পেলনা, যা থেকে অন্তত বোঝা যেতে পারতো, ঘটনা কীভাবে ঘটেছে। পাওয়ার বেলায় পেল কেবল একটা বাঁদর, যেটা সেই সময়ে ওই বিমানেই অবস্থান করছিল। কোন এক হতভাগা যাত্রীরই পোষা ছিল সেটা। মনিব মশায় অক্কা পেলেও, সৌভাগ্যের অতিশয্যে, বিমানের একমাত্র প্রাণী হিসেবে বেঁচে ছিল শুধুমাত্র মুখপোড়া বাঁদরটাই।
এফবিয়াই-এর প্রাণী প্রশিক্ষণ বিভাগ সপ্তাহকালের অক্লান্ত চেষ্টায় বাঁদরটাকে বিভিন্ন আকার-ইঙ্গিত শেখালো, যাতে তার কাছ থেকে দুর্ঘটনার কোন হেতু বের করে আনা যায়। ট্রেনিং সম্পন্ন হবার পর বাঁদরটা মুখোমুখি হলো তদন্ত বিভাগের। তদন্তকর্মে নিয়োজিত হলো সাতিশয় অভিজ্ঞ, পক্কবাল এক অফিসার।
“দুর্ঘটনার সময় বিমানের পাইলট কি করছিল?” বাঁদরে শুধালেন অফিসার।
জানোয়ারটা তার বাঁদরপনা লিঙ্গটা উম্মুখ করে দিয়ে, তার কটিদেশ সংলগ্ন অঞ্চল আগপিছ দুলিয়ে, মুখে শব্দ করলো, “ওহ ওহ ওহ…”
দুর্ঘটনার জটটা যেন আস্তে আস্তে খুলতে লাগলো। অফিসার সাহেব ভুরু-টুরু কুঁচকে ফের জিজ্ঞেস করলেন, “তখন, সহকারি বৈমানিক করছিলটা কি?”
এবার বাঁদরটা তার নির্দিষ্ট অঙ্গটাতে হস্তস্থাপন করলো। হাতকে আগপিছ ঝাঁকিয়ে, মুখটা প্রসৃত করে শব্দ করলো, “এহ এহ এহ…”
এবার অফিসার মহাশয় আরও অস্থির হলেন। তিনি সন্ধিগ্ধ নয়নে জিজ্ঞেস করলেন। “এয়ার হোস্টেস গুলা কি করছিল বলতে পারো?”
বাঁদরটা এবার তার ডবকা নিতম্বাংশ দুটো দুহাতে পাকড়ে সামনের দিকে ঝুঁকে গেল। মুখটা ভীষণ রকম কেলিয়ে শব্দ করলো, “ইহ ইহ ইহ….” ।
অফিসার সাহেব রিলাক্স করে বসলেন। তার কাছে সবকিছু জলের মত পরিষ্কার। আয়েসী ভাবেই হঠাৎ তিনি বাঁদরটাকে জিজ্ঞেস করলেন, “এমন ভয়ানক সময়টাতে তোমার কেমন লাগছিল? কি করছিলে তুমি তখন?”
এবার বাঁদরটা একটা কাল্পনিক স্টিয়ারিং ধরে, বিমান চালানোর ভঙ্গি করলো।
No comments:
Post a Comment